পোস্টগুলি

ওজুতে একাগ্রতার অর্জনের পাঁচটি পদ্ধতি

ছবি
ওজুতে একাগ্রতার অর্জনের পাঁচটি পদ্ধতি শায়খ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ওজুতে মনোযোগী তাকে আল্লাহ নামাজে মনোযোগ দান করেন। আমরা ওজু করার সময় চিন্তা করি শুধু কোনরকমে ওজু করে নামাজ পড়তে চলে যাব। আমরা নামাজকে গুরুত্ব দেই কিন্তু ওজুকে তেমন গুরুত্ব দেইনা। কিন্তু ওজুর নিজস্ব গুরুত্ব আছে। ওজু যেমন বাহ্যিক/শারীরিক পবিত্রতা বা শুদ্ধতা প্রদান করে তেমনি অন্তরেরও পবিত্রতা বা শুদ্ধতা প্রদান করে। তাছাড়া, যে ওজুতে পূর্ন মনোযোগ দিতে পারবে সে নামাজেও মনোযোগ দিতে পারবে। ওজুতে একাগ্রতা অর্জনের পদ্ধতিগুলো হলঃ- ১. মনে মনে ভাবুন এটি হতে পারে আপনার জীবনের শেষ ওজু। যখন আপনি মুখে পানি দিচ্ছেন চিন্তা করুন এটি আপনার শরীর ও অন্তরকে পরিবত্রতার নুরে আলোকিত করছে। ২. "বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহ" বলে ওজু শুরু করুন এবং ওজুর মাঝে ও শেষের দোয়াগুলো ভালভাবে পড়ুন। যদি অযুর পূর্বে কেউ   بِسْمِ  اللهِ    وَالْحَمْدُ  لِلّٰه   বলে, তাহলে যতক্ষণ অযু সহকারে থাকবে ততক্ষণ  পর্যন্ত ফেরেস্তাগণ তাঁর জন্য নেকী লিখতে থাকবে।  পবিত্র হাদীসে বর্ণিত আছে: “যে ব্যক্তি ভালভাবে অযু করলো অতঃপর আসমানের দি

হযরত জুনায়েদ বাগদাদী এর ইহুদীদের সাথে বাহাস

ছবি
হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর ইহুদীদের সাথে বাহাস হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) কে এক জনৈক ইহুদি মুহব্বত করতেন। একদিন ইহুদি উনার নিকটে এসে কিছুক্ষণের মধ্যেই যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বললেন,কোথায় যাচ্ছ? ইহুদি বললো,আজ আমাদের একটা সমাবেশ আছে। সব ইহুদি সেখানে আসবে আমিও যাবো, হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বললেন আমাকে তোমার সাথে নিয়ে চলো আমি তোমাদের বেশ ধরে সেখানে যাবো। হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার সাথে সেখানে গিয়ে দেখেন একটি উচু আসন তৈরী করা হয়েছে। কিছুখন পর সেখানে একজন বৃদ্ধকে এনে বসানো হলো, এই বৃদ্ধ প্রতিবছর এখানে বসে জনতাকে একটি মাত্র উপদেশ দিতেন,তাহারা সবাই সেই উপদেশ পালন করতো। কিনতু এবার সে চুপ করে বসে রইলো৷ ভক্তরা বলে উঠলো,আপনি আজ কিছু বলছেন না কেন আপনার বানী শোনার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি। বৃদ্ধ বললো, এই মজলিসে একজন মুসলমান আছে।তাই আমি কোন কথা বলতে পারছিনা। ইহুদিরা বলে উঠলো,কে সে মুসলমান আমরা উনাকে হত্যা করবো। বৃদ্ধ বললো, খবরদার! তোমরা উনাকে হত্যা করবে না।

গায়েবানা জানাজা জায়েজ কিনা?

ছবি
গায়েবানা জানাযা জায়েয কি না ?????? মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আযহারী মানুষ মারা গেলে তাকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য জমায়েত এবং তার মাগফিরাতের জন্য যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং তাতে যে বিশেষ পদ্ধতিতে নামায পড়া হয়, তার নাম জানাযা। অত্যন্ত ভাবগম্ভীর ও অনাড়ম্বর পরিবেশে এই জানাযার নামায আদায় করা হয়ে থাকে। মৃতের মাগফিরাত কামনায় এই জানাযার নামায আদায় করা জীবিতদের জন্য শরয়ী দায়িত্ব। হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, حَقُّ الْـمُسْلِمِ عَلَى الْـمُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلَامِ، وَعِيَادَةُ الْـمَرِيْضِ، وَاتِّبَاعُ الْـجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ الْعَاطِسِ একজন মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে, সালামের উত্তর দেওয়া, অসুস্থের খোঁজ-খবর নেয়া, জানাযায় অংশ গ্রহণ করা, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচির জবাব দেওয়া। [আল-বুখারী, আস-সহীহ, দারু তওকিন নাজাত, খ. ২, পৃ. ৭১, হাদীস: ১২৪০] অপর এক হাদীসে রয়েছে, হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি র

বিপদে আপদের সময় যেসব দোয়া পড়বেনঃ

ছবি
বিপদ-মসিবতে পাঠ করার জন্য কতিপয় দোয়া  এবং এর জন্য আমল: ♦১) উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) কে বলতে শুনেছি, মানুষের ওপর কোনো বিপদ এলে সে যদি এই দোয়া পাঠ করে- আল্লাহতায়ালা তাকে তার বিপদের প্রতিদান দেন এবং সে যা কিছু হারিয়েছে তার বদলে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন। দোয়া : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসিবাতী ওয়া আখলিফ-লী খইরম মিনহা। অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম) ♦২) ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন— দোয়া : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আযীমুল হালীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আজীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রব্বুল আরশিল কারীম। অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, ত

১০জনকে মেসেজ দিলে খুশির সংবাদ আসবে না জানালে বিপদ আসবে এসব এর হুকুম কি?

ছবি
আসসালামু আলাইকুম প্রশ্ন :কিছুদিন ধরে মোবাইলে কিছু মেসেজ আসছে l মেসেজ  গুলোর  ধরন এমন  : “মদিনা শরীফে  ১ লাখ হাজী স্বপ্নে দেখেছেন  হযরত  মুহাম্মদ  (স) বলেছেন,  আমার  উম্মতদের বলে দিও, তারা  যেন  কোরআন  তেলাওয়াত  করে এবং নামাজের তাগিদ দেয় l এই sms টি যারা  ২০ জন কে দিবে  তারা ৯ দিনের  মধ্যে খুশির  সংবাদ  পাব l আর না দিলে ১৫ বছরেও  কোন খুশির  সংবাদ  পাবেনা l এটা  সত্য l” (আমার  বন্ধুরা  sms টির প্রতি  উৎসাহিত হয়ে সবাইকে  send  করছে l শুধু এটি নয় আরও বহু এমন sms পাওয়া যায়, যা পাঠালেই নাকি এই হবে সেই হবে, এই পাবেনন সেই পাবেন।) আমার  প্রশ্ন  হছে  এরুপ  sms কি প্রচার  করা যাবে? আর না  গেলে  আশা করি এর বিপক্ষে  যথাযথ  ব্যবস্থা  নিবেন l উত্তর وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته بسم الله الرحمن الرحيم ইসলামী শরীয়তের মুলনীতি হল, কোন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কারভাবে না জেনে তা প্রচার করা ব্যক্তি মিথ্যুক হবার জন্য এরকম কাজই যথেষ্ট। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَىٰ مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِ

মসজিদের মাইকে আযান ব্যতীত অন্য কোন ঘোষণা দেয়া যাবে কি? যেমন: মৃত সংবাদ, হারানো বিজ্ঞপ্তিঃ

মসজিদে আযান ব্যতীত অন্য কোন ঘোষণা না দেওয়াই উচিত। যেমন হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ মসজিদে হারানো বিজ্ঞপ্তি শুনলে সে যেন বলে আল্লাহ যেন তোমাকে জিনিষটি ফেরত না দেন। কারণ এ কাজের জন্য মসজিদ বানানো হয়নি (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৭০৬) । অনুরূপ মৃত সংবাদও প্রচার করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (ছহীহ তিরমিযী হা/৯৮৬)। সরকারী ঘোষণা ও চিকিৎসার ঘোষণার সাথে মসজিদের কোন সম্পর্ক নেই। (সংগ ্রহিত)

কোন রঙের পাগরি পড়া সুন্নত?

প্রশ্ন : হাদিসে কোন কোন রঙের পাগরি পড়ার ব্যাপারে আছে? Ans By MASUM BILLAH SUNNY ★ সুলাইমান ইবনে আবী আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি প্রথম যুগের মুহাজ্জিরিন গনকে দেখেছি  তারা কালো, সাদা, লাল এবং সবুজ রঙের এর পুরো পাগড়ি পরা ছিল। [আল-মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা (6/48) : হাদিস 25489] ★ বুখারী, মুসলিম শরীফে কালো পাগরি সম্পর্কে অনেক হাদিস এসেছে। ★ আতা বিন রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাথায় সাদা পাগরি বেঁধেছেন (অথবা আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ)। ★ মিশকাতঃ 377 পৃঃ এবং ★ ইমাম বায়হাকিঃ শুয়াবুল ইমান।